প্রধানমন্ত্রীকে মা ডাকতে ইচ্ছে করে শামসুজ্জামান দুদুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আপনি মাঝে মাঝে বলেন- গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দেবেন, জীবন উৎসর্গ করে দেবেন। আপনাকে মা ডাকতে ইচ্ছা করে আমার যে- মা আপনি এত রক্ত দিয়েন না, আমাদের শুধু ভোট দেয়ার অধিকার টুকু দেন।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন

ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী’র সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী ক‌মি‌টির সদস‌্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধ‌রী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. মাইনুল ইসলাম, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সাবেক ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গণতন্ত্র আর স্বৈরতন্ত্র একসঙ্গে চলে না। যদি গণতন্ত্র থাকে তাহলে স্বৈরতন্ত্র থাকে না। আর যদি স্বৈরতন্ত্র থাকে তাহলে সেই সমাজে সেই রাষ্ট্রে গণতন্ত্র থাকে না। এখন যে অবস্থায় আমরা পড়েছি সেই অবস্থাটা খুবই ভয়ঙ্কর।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এখন গণতন্ত্রের চেতনার সারাবিশ্বের নেত্রী। শুধু জনগণের কথা বলার জন্য, স্বাধীনতার স্বপক্ষে কথা বলার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য তাকে আজ কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, অনেকেই বলেন- কর্মসূচি দেন, কর্মসূচি দেন। একবার মহানগরী নিয়ে সমালোচনা করে আর একবার সেক্রেটারি নিয়ে সমালোচনা করে। আপনাদের তো রাস্তায় নেমে আসতে কেউ নিষেধ করেনি। এই যে সিটি নির্বাচন গেল ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। এটাও একটা প্রতিবাদ। কিন্তু এই স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের কাছে এই প্রতিবাদে কোনো কাজ হবে না, রাস্তায় নামতে হবে।

তিনি বলেন, দল কিন্তু আন্দোলনের দিকে গড়াচ্ছে। আমি থাকলাম না বা অন্য কেউ থাকল না তাতে কিছু আসে-যায় না। দল আন্দোলনের দিকেই যাচ্ছে। ৬৯-এ আইয়ুব খান তার পতনের সাতদিন আগে বলেছিল- দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। সাত দিনের মাথায় তাকে বিদায় নিতে হয়েছে। এরশাদের পরিস্থিতি তো আপনারা অনেকেই দেখেছেন। সে জন্য আমি বলব শত্রুতা কমাতে হবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বাকশাল বিশ্বাস করে। বিএনপি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে গণতন্ত্রের কথা বলে। ক্ষমতায় গেলে একদল করে। আমরা বিরোধী দলে থাকলেও গণতন্ত্রের কথা বলি ক্ষমতায় থাকলেও গণতন্ত্রের কথা বলি। সবসময় গণতন্ত্র বিজয় হয়েছে সুতরাং হতাশ হওয়ার কিছু নেই। গণতন্ত্রের বিজয় হবে।

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন